চুমকি ঘটি গঙ্গা জল
অনেক জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখেছি, অনেক কিছু দাগ কেটেছে মন জুড়ে, অনেক কিছু ভুলেও গেছি।
অনুভূতি যদি ভালোবাসা কে ঘিরে বেড়ে ওঠে লতানে গাছের মতো, আঁকড়ে ধরে থাকে তাহলে তা মন নামক অদৃশ্য যন্ত্রটি থেকে মুছে দেওয়া যায় না। জড়িয়ে ধরার দাগরেখা জমে থাকে।
সান্ডাকফু গিয়ে আমার অনুভূতি হলো ওই জড়িয়ে ওঠার মতো। পাহাড় যে বড্ড ভালোবাসি তা নয়। কিন্তু , , HMI তে আমার দয়ালু শিক্ষকগণ আমায় শিখিয়েছিলেন, পাহাড় এ এসেছ, আবার আসবে যদি সে তোমায় একসেপ্ট করে। বুড়ো শিব থাকেন নাকি গাঁ গঞ্জে । জানলাম পাহাড়ে থাকেন ইয়া তাগড়াই শিবজি। স্বাভাবিক, পাহাড়ে চড়তেও তো দম লাগে । দম দিয়ে দিয়ে তিনি এখন দমদার। তা, সেই তিনি আমায় মেনে ই নিলেন শেষ অবধি। কি করে বুঝলাম ? BMC যে গঙ্গা নদী চোখ দুখানি বেয়ে নেমেছিল। রোজ রোজ। BC Nথেকে নেমে আসার সময় প্রতিজ্ঞা করেছিলাম মা গঙ্গার নামে ," যে কঠিন পাহাড়ের বুক জুড়ে তুমি ছুটে চলো, কাটতে পারো তাঁকে , যতই সে ভয় দেখাক আমায় , আমি ফিরে আসবো। নইলে আমি তোমার মেয়েই নই"।
শুধু প্রতিজ্ঞা রক্ষার্থে চললাম এমন তো বলি না। বলা ভালো চললাম কিছু করতে । মনুষ্য জন্ম বলে কথা। কত জন্ম তপস্যা করলে তবে পাওয়া যায়। পূর্ব জন্মে বিশ্বাসী নই। ইহ জন্মে ভব লীলা সাঙ্গ করার পরে গরুর বা তার বাচ্চার ( যদিও এক খান বাছুর আমায় এই দৈত্যের মতো চেহারা কত টানতে পারবে , সন্দেহ আছে), কারো একটার লেজ ধরে পার হবো , ব্যাস সব গল্প খতম। তো, সেই ইহ জন্মের টানেই , চললাম গ্রুপ নিয়ে। বিজনেস বলে কথা। কর ফ্যামিলি জোতদার ফ্যামিলি ছিল। এখন চাকরি বাকরি করে করে সবার দম শেষ। আয়েশি, নিশ্চিত জীবন। যাক গে। বাড়ির সবার ট্যারা, আঁকা বাঁকা , খাল বিল ওয়ালা নজর পেরিয়ে চলে গেলাম সান্ডাকফু। রাস্তা বড় মনোরম-- কেডায় কয়? আমি .। আর বাকিদের কম্ম শেষ। দিলাম ধুঁয়া। সামনে , পেছনে, উপরে, নীচে,। যুক্তি শাস্ত্র তে পড়েছিলাম, ধোঁয়া থাকলে অবশ্যই অগ্নির অস্তিত্ব আছে। অর্থাৎ, কার্য থাকলে কারণ অবশ্যই আছে। আর ফল অবশ্যম্ভাবী, প্রমাণিত। যুক্তি আবার ওই অংকের মতোই , নিয়ম নিষ্ঠাবান। সুতরাং, অগ্নি বা বকবকানি প্রজ্জ্বলিত হলো, ধোঁয়া মারলাম, ফল বা চলা শুরু হয়ে শেষ ও হল, প্রমাণিত।
কাজের মধ্যে কয়েকটি চতুস্পদ জীব কে চালানো। বাকি সময় রাখাল বাঁশি বাজায়। আমিও বাঁশি বাজাই আর চারদিক দেখি দু চোখ ভরে। সেই জড়ান লতা ফিরে ফিরে আসে। নরম, স্নিগ্ধ আবেশ নিয়ে। কিন্তু তার জানানদারী বড় জোরালো। সগর্বে নয়, জোরালো, মায়ের মতো। সারা বাড়ি জুড়ে , সব ছুঁয়ে থাকা । কেউ খেয়াল করলো কিনা কিছু যায় আসে না । সবেতেই তাঁর স্পর্শ, সবেতেই " আমি আছি"। সেরকম । সেরকম ভাবে আমার দেখা , না দেখাগুলো ফিরে এলো। ফিরে এলো শৈশব। তার সব ভালোলাগা নিয়ে। আমায় ছুঁয়ে থাকা সবুজ, রহমান হাউসের রং বেরঙের ডালিয়া, পাগলা হাওয়া, ফার্নের মধ্য দিয়ে আমার দৌড় , করলা নদীর বাঁধ বেয়ে নামা, পড়তে পড়তে সামলে যাওয়া , তার পর চিন্তা করা কেন পড়লাম, আর হবে না ওরকম, ছোট সুদেষ্ণার সব খেয়াল খুশি , অস্বস্তি, হাসি, পাগলামি, রাগ , সব সব, ইমোশন উপরওয়ালা যেন এক বড় চুমকি ঘটে আমার মাথায় আবার ঢেলে দিলেন। পুরো ভিজে আপাদমস্তক অবাক আমি দাঁড়িয়ে। পবিত্র হলাম।
শৈশব ফিরে আসে। যদি চাওয়া যায়। বুকের ভেতরে একটা লাল পাথরের ঘর আছে । সেখানে এক মহাসাগরের বাস। বড় গর্জন তার।বড় বড় ঢেউ। কিন্তু সেই অকুল পাথারের অনেক অনেক গভীরে বসত করে হিরে মানিক, ভালোবাসা । সব জীবন্ত। চুপটি করে থেকে যায়। আজীবন। তুলে এনেছি। স্কুবা হওয়া সার্থক আমার।
ভালো থেকো যারা পড়ছো।
অনুভূতি যদি ভালোবাসা কে ঘিরে বেড়ে ওঠে লতানে গাছের মতো, আঁকড়ে ধরে থাকে তাহলে তা মন নামক অদৃশ্য যন্ত্রটি থেকে মুছে দেওয়া যায় না। জড়িয়ে ধরার দাগরেখা জমে থাকে।
সান্ডাকফু গিয়ে আমার অনুভূতি হলো ওই জড়িয়ে ওঠার মতো। পাহাড় যে বড্ড ভালোবাসি তা নয়। কিন্তু , , HMI তে আমার দয়ালু শিক্ষকগণ আমায় শিখিয়েছিলেন, পাহাড় এ এসেছ, আবার আসবে যদি সে তোমায় একসেপ্ট করে। বুড়ো শিব থাকেন নাকি গাঁ গঞ্জে । জানলাম পাহাড়ে থাকেন ইয়া তাগড়াই শিবজি। স্বাভাবিক, পাহাড়ে চড়তেও তো দম লাগে । দম দিয়ে দিয়ে তিনি এখন দমদার। তা, সেই তিনি আমায় মেনে ই নিলেন শেষ অবধি। কি করে বুঝলাম ? BMC যে গঙ্গা নদী চোখ দুখানি বেয়ে নেমেছিল। রোজ রোজ। BC Nথেকে নেমে আসার সময় প্রতিজ্ঞা করেছিলাম মা গঙ্গার নামে ," যে কঠিন পাহাড়ের বুক জুড়ে তুমি ছুটে চলো, কাটতে পারো তাঁকে , যতই সে ভয় দেখাক আমায় , আমি ফিরে আসবো। নইলে আমি তোমার মেয়েই নই"।
শুধু প্রতিজ্ঞা রক্ষার্থে চললাম এমন তো বলি না। বলা ভালো চললাম কিছু করতে । মনুষ্য জন্ম বলে কথা। কত জন্ম তপস্যা করলে তবে পাওয়া যায়। পূর্ব জন্মে বিশ্বাসী নই। ইহ জন্মে ভব লীলা সাঙ্গ করার পরে গরুর বা তার বাচ্চার ( যদিও এক খান বাছুর আমায় এই দৈত্যের মতো চেহারা কত টানতে পারবে , সন্দেহ আছে), কারো একটার লেজ ধরে পার হবো , ব্যাস সব গল্প খতম। তো, সেই ইহ জন্মের টানেই , চললাম গ্রুপ নিয়ে। বিজনেস বলে কথা। কর ফ্যামিলি জোতদার ফ্যামিলি ছিল। এখন চাকরি বাকরি করে করে সবার দম শেষ। আয়েশি, নিশ্চিত জীবন। যাক গে। বাড়ির সবার ট্যারা, আঁকা বাঁকা , খাল বিল ওয়ালা নজর পেরিয়ে চলে গেলাম সান্ডাকফু। রাস্তা বড় মনোরম-- কেডায় কয়? আমি .। আর বাকিদের কম্ম শেষ। দিলাম ধুঁয়া। সামনে , পেছনে, উপরে, নীচে,। যুক্তি শাস্ত্র তে পড়েছিলাম, ধোঁয়া থাকলে অবশ্যই অগ্নির অস্তিত্ব আছে। অর্থাৎ, কার্য থাকলে কারণ অবশ্যই আছে। আর ফল অবশ্যম্ভাবী, প্রমাণিত। যুক্তি আবার ওই অংকের মতোই , নিয়ম নিষ্ঠাবান। সুতরাং, অগ্নি বা বকবকানি প্রজ্জ্বলিত হলো, ধোঁয়া মারলাম, ফল বা চলা শুরু হয়ে শেষ ও হল, প্রমাণিত।
কাজের মধ্যে কয়েকটি চতুস্পদ জীব কে চালানো। বাকি সময় রাখাল বাঁশি বাজায়। আমিও বাঁশি বাজাই আর চারদিক দেখি দু চোখ ভরে। সেই জড়ান লতা ফিরে ফিরে আসে। নরম, স্নিগ্ধ আবেশ নিয়ে। কিন্তু তার জানানদারী বড় জোরালো। সগর্বে নয়, জোরালো, মায়ের মতো। সারা বাড়ি জুড়ে , সব ছুঁয়ে থাকা । কেউ খেয়াল করলো কিনা কিছু যায় আসে না । সবেতেই তাঁর স্পর্শ, সবেতেই " আমি আছি"। সেরকম । সেরকম ভাবে আমার দেখা , না দেখাগুলো ফিরে এলো। ফিরে এলো শৈশব। তার সব ভালোলাগা নিয়ে। আমায় ছুঁয়ে থাকা সবুজ, রহমান হাউসের রং বেরঙের ডালিয়া, পাগলা হাওয়া, ফার্নের মধ্য দিয়ে আমার দৌড় , করলা নদীর বাঁধ বেয়ে নামা, পড়তে পড়তে সামলে যাওয়া , তার পর চিন্তা করা কেন পড়লাম, আর হবে না ওরকম, ছোট সুদেষ্ণার সব খেয়াল খুশি , অস্বস্তি, হাসি, পাগলামি, রাগ , সব সব, ইমোশন উপরওয়ালা যেন এক বড় চুমকি ঘটে আমার মাথায় আবার ঢেলে দিলেন। পুরো ভিজে আপাদমস্তক অবাক আমি দাঁড়িয়ে। পবিত্র হলাম।
শৈশব ফিরে আসে। যদি চাওয়া যায়। বুকের ভেতরে একটা লাল পাথরের ঘর আছে । সেখানে এক মহাসাগরের বাস। বড় গর্জন তার।বড় বড় ঢেউ। কিন্তু সেই অকুল পাথারের অনেক অনেক গভীরে বসত করে হিরে মানিক, ভালোবাসা । সব জীবন্ত। চুপটি করে থেকে যায়। আজীবন। তুলে এনেছি। স্কুবা হওয়া সার্থক আমার।
ভালো থেকো যারা পড়ছো।
Hotels near Harrah's Casino in Chester, PA
ReplyDeleteHotels 1 - 12 of 67 — Looking 문경 출장샵 for 영천 출장마사지 hotels near Harrah's Casino in Chester, PA 부산광역 출장샵 near Harrah's Casino? At Mapyro, 시흥 출장안마 you can easily find hotels 인천광역 출장샵 and motels